গত ১০ বছরে ন্যাশনাল-মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ বাদে প্রায় সব মহাদেশের মানুষের সাথে ডিরেক্ট কাজ করার সুযোগ পেয়েছি । চাকরি করেছি ৫টি কোম্পানিতে এবং ঘুরেছি কয়েকটি দেশও বটে ।
২০২১ সালের ১ অক্টোবর থেকে অফিসিয়ালি নিজেকে উদ্যোক্তার খাতায় নাম লিখালাম ।
যদিও
“উদ্যোক্তা হওয়াটা আজকাল যতটা না প্যাশন
তার থেকে বেশি হালের ফ্যাশন”
স্রোতে গা ভাসাইনি কখনও বরং অদ্যাবধি স্রোতের বিপরিতেই হেটে যাচ্চি ।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে যখন একটা মালিন্যাশনাল কোম্পানিতে লোভে পাপ, পাপে ইঞ্জিনিয়ার থেকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বসিয়ে দেয়া হলো । একটা টিম বানাবো যথাযথ মানুষ খুঁজে পাচ্ছিলাম না । যদিও সেই সময় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আমি নিজেই আনাড়ি । এবং আমাকে দায়িত্ব দেয়ার আগ পর্যন্ত ঐ কোম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং টিমটি পৰিচালনা হতো ইন্ডিয়া থেকে । যাইহোক আমরা টিম করলাম, কাজ করলাম, ভালো করলাম । কনফিডেন্স গ্রো করলাম । তখন থেকেই ভাবনাটা কিভাবে এই সেক্টরটা উন্নতি করা যায় উন্নত ম্যান-পাওয়ার তৈরির মাধ্যমে ।
যদিও স্বপ্নটা বাস্তবে রূপ নিলো ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে Skilluper প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে । এখন Skilluper -এর ১৫০০+ স্টুডেন্ট ঘরে বসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্র্যান্ড গুলোর সাথে কাজ করছে এবং বিদেশ থেকে বিদেশি টাকা আমাদের দেশে এনে জিডিপিতে অবদান রাখছে ।
জন্ম হয়েছে Growpeak Digital -এর । এটা একটা ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস ও কন্সাল্টিং কোম্পানি । মাসিক ৩০০ ডলার চুক্তিতে একটা আমেরিকান কোম্পানির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছে অগাস্ট মাস থেকে ।
পৃথিবী অনেক বদলে গেছে, বলতে পারেন দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছে, এখন আগের গোল পোস্টে বল মারলে নিজেরই ঢুকে যাবে । যদিও উদ্যোক্তা পয়দা করা যায় না পয়দা হয়েই পৃথিবীতে আসে জাস্ট একটু শান দেয়া আর কি । দিন শেষে সবার একটা নিজস্ব পরিচয় থাকা দরকার তাতে গুলিস্থানের মোড়ে একটা পানের দোকানের মাধ্যমে হলেও ।
কারো মাছ কিনে দেয়া থেকে বড়শি কিনে দিলে সে নিজেই নিজের জন্য মাছ সংগ্রহ করে নিতে পারবে । আমি মনে করি যেকোনো পসিশন থেকে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করা করা যায় আর সেখান থেকেই নিজেকে উৎসর্গ করলাম দেশের জন্য ।